এবার শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের নাগেরপাড়া গ্রামে সৌদি প্রবাসী প্রেমিক মাসুদ আহমেদ সাগরের বাড়িতে গত ৫ দিন ধরে অনশনে বসেছেন একই গ্রামের বাসিন্দা রুপালি আক্তার নামের এক তরুণী। তার সঙ্গে মা এবং খালাও অনশনে বসেছেন।
জানা যায়, রুপালি ও সাগর দুজনে ফুফাতো মামাতো ভাইবোন। সাগর সৌদি আরব প্রবাসী। মোবাইল ফোনে গত দুই বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে একটা সময় সাগর তার ফুফাতো বোন রুপালি আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। তখন রুপালির মা বিয়েতে রাজি হননি। রুপালিকে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছিলেন। পরবর্তীতে সাগর রুপালিকে বিয়ে করতে চাইলে তার মা না করে দেন। পরে যেকোনো কারণে রুপালির বিয়ে ভেঙে যায়।
গত শুক্রবার নাগেরপাড়া গ্রামে প্রেমিক সাগরের বাবা-মা রুপালিকে রেখে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিবাহ ঠিক করবে- তাই সাগর রুপালিকে তার বাড়িতে আসতে বলেন। সাগরের মায়ের পা ধরে মাফ চাইতে বলেন। তখন সাগরের মা ওই মেয়েকে মেনে নিতে রাজি হননি; তাকে ঘর থেকে বের হতে বলেছেন। পরে রুপালি বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় সাগরের মা ও তার ভাইবোন সবাই বাড়ি থেকে চলে যায়। এখন পর্যন্ত সাগরের মা-বাবা সবাই নির্বাসিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাড়িতে আসতে পারছেন না; কারণ রুপালি ও তার মা খালা সবাই বাড়ি দখল করে রেখেছেন।
এদিকে প্রেমিকের ভাই জানান, গত পরশু এ বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা ঘটনাটির বিবেচনা করে মেয়ের মায়ের দাবি অনুযায়ী প্রেমিক সাগরের পরিবারকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য বলেছিলেন। তখন মেয়ের মা তিন লাখ টাকায় দরবার মেনে নিয়েছিলেন ও ৫০ হাজার টাকা এডভান্স দিয়েছিল ছেলেপক্ষ। এখন দুদিন পর মেয়ের মা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছেন, তা নাহলে ছেলের বাড়ি তারা ছাড়বেন না।
এ বিষয়ে প্রেমিক সাগরের মা রেহেনা বেগম ও ছোট ভাই আসিফ বলেন, আমরা পাঁচ দিন যাবত সবাই বাড়ির বাইরে, বাড়িতে উঠতে পারছি না। ওই মেয়ে এবং তার মা-খালা-নানি ঘর দখল করে রেখেছেন। আমরা একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।